বুকে কফ জমে মূলত তখনই যখন আমাদের ফুসফুস, শ্বাসনালী বা গলার ভেতরের শ্লেষ্মা (mucus) ঘন হয়ে যায় এবং ঠিকমতো বের হতে পারে না। এই অবস্থাকে বলা হয় chest congestion বা “বুকে কফ জমা”।
বুকে কফ জমার সাধারণ কারণগুলো হলো:
- সর্দি-কাশি বা ভাইরাল ইনফেকশন
সাধারণ ঠান্ডা বা ফ্লু হলে শরীর অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে, যা বুকে জমে যেতে পারে। - ব্রংকাইটিস (Bronchitis)
যখন শ্বাসনালির প্রদাহ হয়, তখন কফ তৈরি হয় এবং বুকে জমে যায়। - এলার্জি
ধুলাবালি, ফুলের রেণু, পশুর লোমে এলার্জি থাকলে কফ তৈরি হতে পারে। - ধূমপান
ধূমপান শ্বাসনালির ভিতরের স্তর নষ্ট করে কফ জমার প্রবণতা বাড়ায়। - অ্যাজমা বা ফুসফুসের রোগ (যেমন COPD)
এই রোগগুলোতে বুকে প্রায়ই কফ জমে থাকে। - ধুলাবালি ও দূষণের প্রভাব
পরিবেশ দূষণের কারণে শ্বাসনালিতে জ্বালা ও কফ তৈরি হয়।
কীভাবে বুঝবেন বুকে কফ জমেছে?
- বুকে ভারী লাগা বা চাপ অনুভব হওয়া
- ঘন কাশির সময় কফ বের হওয়া
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- শ্বাস নেওয়ার সময় গোঁ গোঁ বা ঘড়ঘড় শব্দ
- রাতে বেশি কাশি হওয়া
ঘরোয়া উপায় (Home Remedies):
- গরম পানির ভাপ (steam inhalation)
দিনে ২-৩ বার গরম পানির ভাপ নিন—কফ নরম হয়ে সহজে বের হবে। - আদা ও মধু
আদা ও মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা কাশি ও কফ কমাতে সাহায্য করে। - গরম পানি পান করা
বেশি করে গরম পানি পান করলে কফ পাতলা হয়ে যায়। - নুন-গরম পানির গারগল
গলায় জমে থাকা কফ কমাতে সহায়তা করে। - হালকা ব্যায়াম ও বুক খোলা রাখা
শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিকমতো চললে কফ সহজে বের হয়।
কবে চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
- কাশির সঙ্গে রক্ত এলে
- ৭ দিনেও কফ না কমলে
- জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা থাকলে
- কফের রং হলুদ, সবুজ বা দুর্গন্ধযুক্ত হলে